০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুশ-ইন বন্ধ করে পুশব্যাক নিশ্চিত করুন,নাগরিক সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ৩৮ Time View

নিউজ ডেক্স

সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ কতৃক অবৈধভাবে পুশ-ইনের পদক্ষেপগুলো ১৯৭৫ সালের সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)-২০১১ এবং বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের আলোচনায় দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী উল্লেখ করে মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “বিএসএফ কতৃক অবৈধভাবে পুশ-ইন বন্ধ করা, ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানো,মানবিক করিডোর ও সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করণ শীর্ষক নাগরিক সভা” অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া বলেন, আইনবহির্ভূতভাবে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি ভারতের পুশইন বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচক কাদের গণী চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনবহির্ভূতভাবে বাংলাদেশে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে বাংলাদেশ চিঠি দিলেও মোটেই তা আমলে নিচ্ছে না ভারত সরকার। এ ছাড়া বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও চোরাপথে বা বিজিবির অগোচরে পুশইনের ঘটনা বেড়ে চলছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাঁধাতে চায়।

তিনি বলেন, শুধু পুশইন নয়, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। সেখানে হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেটি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা অগ্রহণযোগ্য।

‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলবে।

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া পর থেকেই সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র দেখাতে শুরু করেছে ভারত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত সরকার প্রতিনিয়ত প্রচার করতো ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। বাস্তবে দেখা যায় ভারত বহু আগে থেকেই বাংলাদেশের সাথে সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করে আসছে। সাম্রাজ্যবাদী আচরণের প্রেক্ষিতে গত ৭ মে ভোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পর থেকেই বাংলাদেমের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ক্রমবর্ধমান নারী, পুরুষ, শিশুদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০০ (দুই হাজার) এর অধিক লোক পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ।

তিনি আরো বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদি নরেন্দ্র মোদির সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় থেকে লোকজন এনে এক বা দুইটি স্থান দিয়ে নয়, সীমান্তের অনেকগুলো জায়গা দিয়ে পুশ-ইন করা হচ্ছে। যা ভারত কর্তৃক বেশি ডিজাইন করা। বর্ডারে একটা সংঘর্ষ লাগিয়ে যুদ্ধ লাগাতে চায় ভারত। পুশ-ইনের এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এর আগে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে অনেকগুলো জায়গা তাদের বলে দখল করেছিল ভারতীয় বাহিনী। বাংলাদেশের জনগণ বিজিবির সঙ্গে মিলে তাদের প্রতিহত করে ছিলো।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একটা সংঘর্ষ লাগিয়ে প্রমাণ করতে চায়, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কারণে পাকিস্তানি জঙ্গিরা সীমান্তে এসেছে। এমন একটি গল্প তারা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চায়। বিষয়টি কে গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে সেনাপ্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের দাবি জানাই। পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের নোম্যানসল্যান্ডের ভেতর ঢুকতে না দেওয়ার আহ্বান জানাই।

মোস্তফা আল ইহযায বলেন, ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে লালমনিরহাট সীমান্তে দুই শর বেশি মানুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু ঢাকার অনমনীয় অবস্থানের কারণে সীমান্তের শূন্যরেখায় তাদের থাকতে হয়েছিল প্রায় দুই মাস। তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার সঙ্গে আলোচনার জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। দিল্লির সঙ্গে আলোচনার ঠিক আগেই দেখা যায়, সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় দুই মাস ধরে থাকা ওই লোকদের ফিরিয়ে নেয় ভারত। বিজিবি নমনীয়তার কারণে এখন ২০০০ দুই হাজারের বেশি পুশ-ইন হয়েছে আরও লক্ষ লক্ষ লোক পুশ-ইন করানোর জন্য অপেক্ষমাণ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এই কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি, বরং তারা এক প্রকার ‘সহযোগিতা’র মনোভাব দেখাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সীমান্তের পূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ার থাকতে এবং সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ করা চলবে না। তিনি বলেন, পুশইনের জবাব হচ্ছে পুশব্যাক। ভারতকে আমরা যেভাবে জবাব দেওয়া দরকার আমরা সেটি দিতে পারছি না। সরকারের অতিদ্রুত পুশ-ব্যাক নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছি না।

সভায় আরো বক্তব্যে রাখেন, মেজের জেনারেল আমসাআ আমিন (অবঃ), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ টি এম জিয়াউল হাসান (অবঃ), লেঃ কর্নেল খন্দকার ফরিদুল আকবর (অবঃ), মেজর হারুনুর রশিদ (অবঃ), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মফিজুর রহমান (অবঃ), প্রভাষক এম শাহজাহান সাজু, মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, ড. শরিফ আব্দুল্লাহ হিস শাকি, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, সাহিদুল ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাপা’র যুগ্ম মহাসচিব ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ : বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম

পুশ-ইন বন্ধ করে পুশব্যাক নিশ্চিত করুন,নাগরিক সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ

Update Time : ০১:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

নিউজ ডেক্স

সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ কতৃক অবৈধভাবে পুশ-ইনের পদক্ষেপগুলো ১৯৭৫ সালের সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)-২০১১ এবং বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের আলোচনায় দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী উল্লেখ করে মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “বিএসএফ কতৃক অবৈধভাবে পুশ-ইন বন্ধ করা, ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানো,মানবিক করিডোর ও সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি করণ শীর্ষক নাগরিক সভা” অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া বলেন, আইনবহির্ভূতভাবে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি ভারতের পুশইন বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচক কাদের গণী চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনবহির্ভূতভাবে বাংলাদেশে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে বাংলাদেশ চিঠি দিলেও মোটেই তা আমলে নিচ্ছে না ভারত সরকার। এ ছাড়া বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও চোরাপথে বা বিজিবির অগোচরে পুশইনের ঘটনা বেড়ে চলছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাঁধাতে চায়।

তিনি বলেন, শুধু পুশইন নয়, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে। সেখানে হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেটি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা অগ্রহণযোগ্য।

‘মানবিক করিডর’ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলবে।

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া পর থেকেই সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র দেখাতে শুরু করেছে ভারত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত সরকার প্রতিনিয়ত প্রচার করতো ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। বাস্তবে দেখা যায় ভারত বহু আগে থেকেই বাংলাদেশের সাথে সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করে আসছে। সাম্রাজ্যবাদী আচরণের প্রেক্ষিতে গত ৭ মে ভোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পর থেকেই বাংলাদেমের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ক্রমবর্ধমান নারী, পুরুষ, শিশুদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০০ (দুই হাজার) এর অধিক লোক পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ।

তিনি আরো বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদি নরেন্দ্র মোদির সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় থেকে লোকজন এনে এক বা দুইটি স্থান দিয়ে নয়, সীমান্তের অনেকগুলো জায়গা দিয়ে পুশ-ইন করা হচ্ছে। যা ভারত কর্তৃক বেশি ডিজাইন করা। বর্ডারে একটা সংঘর্ষ লাগিয়ে যুদ্ধ লাগাতে চায় ভারত। পুশ-ইনের এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এর আগে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে অনেকগুলো জায়গা তাদের বলে দখল করেছিল ভারতীয় বাহিনী। বাংলাদেশের জনগণ বিজিবির সঙ্গে মিলে তাদের প্রতিহত করে ছিলো।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একটা সংঘর্ষ লাগিয়ে প্রমাণ করতে চায়, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কারণে পাকিস্তানি জঙ্গিরা সীমান্তে এসেছে। এমন একটি গল্প তারা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চায়। বিষয়টি কে গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে সেনাপ্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের দাবি জানাই। পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের নোম্যানসল্যান্ডের ভেতর ঢুকতে না দেওয়ার আহ্বান জানাই।

মোস্তফা আল ইহযায বলেন, ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে লালমনিরহাট সীমান্তে দুই শর বেশি মানুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু ঢাকার অনমনীয় অবস্থানের কারণে সীমান্তের শূন্যরেখায় তাদের থাকতে হয়েছিল প্রায় দুই মাস। তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার সঙ্গে আলোচনার জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। দিল্লির সঙ্গে আলোচনার ঠিক আগেই দেখা যায়, সীমান্তের শূন্যরেখায় প্রায় দুই মাস ধরে থাকা ওই লোকদের ফিরিয়ে নেয় ভারত। বিজিবি নমনীয়তার কারণে এখন ২০০০ দুই হাজারের বেশি পুশ-ইন হয়েছে আরও লক্ষ লক্ষ লোক পুশ-ইন করানোর জন্য অপেক্ষমাণ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এই কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি, বরং তারা এক প্রকার ‘সহযোগিতা’র মনোভাব দেখাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সীমান্তের পূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ার থাকতে এবং সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ করা চলবে না। তিনি বলেন, পুশইনের জবাব হচ্ছে পুশব্যাক। ভারতকে আমরা যেভাবে জবাব দেওয়া দরকার আমরা সেটি দিতে পারছি না। সরকারের অতিদ্রুত পুশ-ব্যাক নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছি না।

সভায় আরো বক্তব্যে রাখেন, মেজের জেনারেল আমসাআ আমিন (অবঃ), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ টি এম জিয়াউল হাসান (অবঃ), লেঃ কর্নেল খন্দকার ফরিদুল আকবর (অবঃ), মেজর হারুনুর রশিদ (অবঃ), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মফিজুর রহমান (অবঃ), প্রভাষক এম শাহজাহান সাজু, মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, ড. শরিফ আব্দুল্লাহ হিস শাকি, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, সাহিদুল ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাপা’র যুগ্ম মহাসচিব ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।